শিরোনাম
- প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
- কেউ যদি বাহুবলে কথা বলে তার পরিণতি হাসিনার মতোই হবে : সালাহউদ্দিন
- আবারও চীনা অস্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে পাকিস্তানের প্রশংসা
- নির্বাচন নিয়ে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে, সতর্ক থাকুন : মির্জা ফখরুল
- ইশতিয়াক-আরশ-মাহি'র ‘মন খারাপের দিনে’
- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ২০ ডিসেম্বর
- বাউবির বিএ ও বিএসএস ১০ অক্টোবরের পরীক্ষা স্থগিত
- জোট সম্প্রসারণে নজর দিচ্ছেন জাপানের তাকাইচি
- কাল স্টার সিনেপ্লেক্সে একটি টিকিট কিনলে একটি ফ্রি
- শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ভারতে আদানি ডিফেন্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
- শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিকে আবারও চিঠি দিল এনসিপি
- কারাগারে বন্দি ছয় ভারতীয় নাগরিকের আদালতে দায় স্বীকারের আবেদন
- কর্ণফুলী ইপিজেডে সড়ক দুর্ঘটনায় গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু
- চট্টগ্রামে ফুল মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
- ট্রাম্পের ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ খোঁচায় থুনবার্গের ব্যঙ্গাত্মক জবাব
- ২ লাখ টন গম ও ৫০ হাজার টন বাসমতি চাল কিনবে সরকার
- সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণে বিশেষ অভিযান
- বিমান বাহিনীর সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উদ্বোধন
- ফের সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জনে সৃজিত-মিথিলা
- শিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের
রাজশাহীতে সরকারি সন্দেহে ২০ টন চাল জব্দ করলো পুলিশ, গ্রেফতার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীর বাঘা খাদ্য গুদামের ৬৬৭ বস্তা সরকারি চাল চারঘাটের কাঁকড়ামারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাঘা ও চারঘাট থানার পুলিশ কাঁকড়ামারি বাজারের দুটি চালের আড়ত থেকে এই চাল উদ্ধার করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় আড়তের মালিক সমসের আলী ও মোস্তাকিন আলীকে গ্রেফতার করেছে।
বাঘা থানা পুলিশ জানায়, বাঘা খাদ্য গুদামের দায়িত্বরতদের সহায়তায় ৬৬৭ বস্তা সরকারি চাল চারঘাটের কাঁকড়ামারি বাজারের ব্যবসায়ী বিশাল খাদ্য ভান্ডারের মালিক সমসের আলী এবং সুমি মায়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মোস্তাকিন আলীর কাছে বিক্রি করে। প্রতি ৩০ কেজি ওজনের সরকারি বস্তার চাল তারা নিজস্ব আড়তের বস্তায় প্যাকেট করছিলেন। এ সময় বাঘা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৬৬৭ বস্তায় ২০ টন ১০ কেজি চাল উদ্ধার করে। এ সময় আড়তের মালিক সমসের ও মোস্তাকিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বাঘা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
বাঘা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবিউর রহমান বলেন, আমার অফিসের কর্মচারী আবদুল হালিম চাকরির পাশাপাশি চালের ব্যবসা করেন। পুলিশের জব্দকৃত চাল সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ও পাবনার ঈশ্বদী থেকে আবদুল হালিক কেনেন। ওই চাল তিনি চারঘাটের কাঁকড়ামারি বাজারের দুই আড়তদারের কাছে বিক্রি করেন। আমার অফিসের এই চাল না।
বাঘা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক শামসুন্নাহার বলেন, চারঘাটে সরকারি চাল আটকের কথা তিনি শুনেছেন। তবে ওই চাল বাঘা খাদ্য গুদামের নয় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আমাদের (বাঘা) খাদ্যগুদামের মজুদ ঠিক আছে। হালিম বাঘা খাদ্যগুদামের পরিচ্ছন্নতা কর্মচারী। হালিমের কাছ থেকে কেনার কারণে হয়তো তারা বলছেন যে এই চাল বাঘা খাদ্যগুদামের, আসলে তা নয়। বাঘার মজুদ ঠিক আছে। তারা অন্য কোথাও থেকে চাল কিনতে পারেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিকে ৬৬৭ বস্তা চাল জব্দ ও দুই আড়তদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া চাল কেনাবেচার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মোস্তাকিন আলী ও শমসের আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা দুইজন বাঘা খাদ্য গুদামের কর্মচারী আবদুল হালিমের মাধ্যমে ২০ টন চাল কিনেছেন। ট্রাকযোগে ওই চাল আড়তে এনে শুক্রবার সকাল থেকে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্য বস্তায় প্যাকেটজাত করছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ
এই বিভাগের আরও খবর