ঈদে ঘরমুখো নৌযাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। ঈদের আগের ও পরে মোট ১০ দিন নৌ পথে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টিকেট কালোবাজারি রোধে মালিক ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ কঠোর নরজরদারী করবে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবে প্রশাসন। এছাড়া ২৭ এপ্রিল থেকে চালু হচ্ছে ডবল (স্পেশাল) ট্রিপ ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসনের হলরুমে আয়োজিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, মেট্রো পুলিশ, জেলা পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তা এবং লঞ্চ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়বে। এ কারণে বেসরকারি ও সরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩০টি বড় বড় নৌযানে যাত্রী পরিবহন করবে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ঈদের আগে ৫ দিন এবং পরের ৫ দিন সহ মোট ১০ দিন ঢাকা-বরিশাল নৌ পথে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে ওই সময় এই রুটে যে কোন ধরনের জাল ফেলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সভায় ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া লঞ্চ চলাচল, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন রোধ এবং লঞ্চের কেবিন টিকেট কালোবাজারি রোধে লঞ্চ মালিক এবং বিআইডব্লিউটিএ’কে কঠোর হতে নির্দেশনা দেয়া হয়। ঈদের ছুটির পর যাত্রীদের এক সাথে বাড়ি ফেরা ঠেকাতে ২৭ এপ্রিল থেকে লঞ্চগুলোতে ঘরমুখো স্পেশাল (ডবল) ট্রিপ চালু করার কথা জানানো হয় সভায়।
যাত্রীদের স্বার্থে নেওয়া এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নদী বন্দরে সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল