বগুড়ায় তৈরি কৃষি যন্ত্রাংশ আরও যুগোপযোগী করে তুলতে ৫ তলা ভবন বিশিষ্ট ফাউন্ড্রি ইনস্টিটিউট নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে ফাউন্ড্রি শিল্পের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। বেকার যুবকদের বিনা খরচে প্রশিক্ষিত করে তুলে চাকরির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে। ভবনটি নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য যাচাই করতে বগুড়ায় একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহয়তা কেন্দ্র (বিটাক) শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার মাঠকর্ম ও অংশীজনের সাথে মতবিনিমিয় সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (বিএমআই) ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বগুড়ায় ৫ তলা ভবন নির্মাণের কথাটি জানান।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় মানুষকে কর্মদক্ষ করে প্রশিক্ষিত করা, উৎপাদিত পণ্যের টেস্টিং ল্যাব তৈরি করা। এই ভবন নির্মাণ হলে বগুড়ার কৃষি যন্ত্রাংশ পণ্যের মান আরও বৃদ্ধি পাবে। বেকার যুবকরা প্রশিক্ষিত হয়ে আরও ভালো কারখানায় চাকরি পাবে। এর জন্য বগুড়ায় ৫তলা ভবন বিশিষ্ট ফাউন্ড্রি ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হবে। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা। একনেকের বৈঠকে অনুমোদন হলে ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে। বগুড়ার মতো ঢাকা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ১০তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। শুধুমাত্র বগুড়ায় ৫তলা ভবন নির্মাণ হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে ব্যয় হবে সাড়ে চারশো কোটি টাকা।
বগুড়া বিটাকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) কাউন্সিলর এম আমিনুর, বগুড়া পলিকেটনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর (মেকানিক্যাল) শফিঊল আল আজিজ, বিআইএম-এর পল্লী গবেষণা সহকারী মুশফিকুর রহমান খান, বিটাকের সহকারী প্রকৌশলী মীর মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান ও কর্মসংস্থান কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।
সভায় বক্তারা বলেন, বগুড়ায় ফাউন্ড্রি শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া ও প্রশিক্ষণের অভাবে চিনের কৃষি যন্ত্রাংশ পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারছে না। বগুড়া থেকে সারা দেশে কৃষি যন্ত্রাংশ ব্যবহার হচ্ছে। বগুড়ার কৃষি যন্ত্রাংশ পণ্যকে যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে। বগুড়ার ফাউন্ড্রিতে সনাতন আমলের পদ্ধতিতে ভাংড়ি লোহা গলিয়ে যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। এখন সেচে আর আগের মতো টিউবওয়েল তৈরি হয় না। এখন সেখানে ব্যবহার হচ্ছে সাবমার্সেবল পাম্প। তাই আমাদের এই সম্ভাবনা শিল্পকে আরও উন্নত করতে সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। বক্তারা আশা করেন আগামী তিন মাসের মধ্যে হয়তো এর কাজ শুরু হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই