পটুয়াখালীর গলাচিপায় বয়স্ক ও বিধবা ভাতার সুবিধাভোগীদের স্বাক্ষর জাল করে মোবাইল একাউন্টের সিম পরিবর্তন করে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রতনদীতালতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। চলমান প্রাথমিক তদন্তে ৬ জনের নাম পরিবর্তন করে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. অলিউল ইসলাম।
এদিকে সুবিধাভোগীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এলাকায় প্রকাশ পেলে বিভিন্ন বেসরকারি স্থানীয় মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা ফেরত দিচ্ছেন বলে স্বীকার করেছেন ওই ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান। এ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার প্রায় ৩৯ জনের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। এটা একটা ভুল ছিল। যেহেতু সবাই আমার ওয়ার্ডের ভোটার তাই আপাতত আমি টাকা ফেরত দিচ্ছি। আমার কাছে আমার আত্মী-স্বজনের ১২টি সিম রয়েছে। তাদের ভাতার টাকাও ফেরত দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে রতনদীতালতলী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারের জনৈক নূর হোসেন ও উলানিয়া বাজারের আরেকটি বিকাশ নম্বর থেকে ১০ জনকে ৩ হাজার টাকা করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকিদের টাকাও ফেরত দেওয়া হবে। আমার জানা মতে ৩৯ জনের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলমান আছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল