পোশাক শ্রমিক শারমিন হত্যার বিচার দাবি তার পরিবারের। শারমিনকে গত ১৫ এপ্রিল রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ১৬ এপ্রিল র্যাব তার লাশ উদ্ধার করে। এই হত্যার অভিযোগে সুমন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
শারমিন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়নের সুতারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ও আয়েশা খাতুনের মেয়ে। চাঁদপুরের রানা নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রায় এক যুগ আগে তার বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে জান্নাত নামে একটি কন্যা সন্তান হওয়ার পর শারমিনকে তালাক না দিয়েই আত্মগোপনে চলে যান রানা। তখন থেকেই শুরু হয় শারমিনের দুর্বিষহ জীবন। এক বছর বয়সের কন্যা জান্নাতকে তার নানীর কাছে রেখে জীবন জীবিকার তাগিদে তিনি ঢাকায় চলে যান।
জান্নাতের বয়স এখন ১০ বছর। নানী আয়েশা ও মামা আজিজুলের তত্ত্বাবধানে লালিত-পালিত হচ্ছে সে। সে বর্তমানে সুতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
স্বামীর সন্ধান না পেয়ে অসহায় শারমিন ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সেখানে সুমন নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই যুবক তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শারমিন তা পুলিশকে বলে দেবেন বলে জানান। এ জন্য তার ওড়না দিয়ে প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন ওই যুবক।
শারমিনের ভাই আজিজুল বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করেছেন। আজ আজিজুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি শারমিন হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ