দীর্ঘ ৫ মাস পর কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর করা কেন্দ্রীয় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত বছর ১৯ নভেম্বর শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। সেসময় বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে কেন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানো হয়। সেইসাথে উপযুক্ত কারণসহ সাত দিনের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনার ৫ মাস পর বৃহস্পতিবার রাতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি আসে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউস মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে এসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের সামনে শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ও ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদসহ উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা আহত হন।
পরে এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রে জানায়। সেই সাথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আসামি করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সদর থানায় মামলা দেওয়া হয়। এ মামলায় সবাই কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রদান করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই