গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ইসতিয়াক আহম্মেদ ওরফে পল্টুর চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, মাদকের পৃষ্ঠপোষকতা ও নিরহ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তারাইল গ্রামের আব্দুল মাজেদ কাজীর ছেলে কাজী সাকির, কাজী রবিউল, আব্দুল মান্নান কাজীর ছেলে কাজী মিঠু, ইমাম উদ্দিন কাজীর ছেলে জসিম আহম্মেদ (জাসু) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইমদাদুল হক।
এ সময় কাজী সাকির বলেন, আমি চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য করি। গ্রামের বাড়িতে তেমন আশা হয় না। রোজায় এলাকায় জাকাত দিতে আসি এবং তারাইল বাজারেও একটি দোকান ঘর দিচ্ছি ব্যবসা করার জন্য। ঘরের কাজ শুরু করার পর থেকে আমাদের চেয়ারম্যান শাহ ইসতিয়াক আহম্মেদ আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ৮ এপ্রিল সকাল ১১টায় আমাদের ভূমি অফিসের সামনে থেকে চেয়ারম্যানের হুকুমে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। আমি কাশিয়ানী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি ও মামলাটি পিবিআই পুলিশের নিকট তদন্তাধীন রয়েছে।
জসিম আহম্মেদ (জাসু) বলেন, আমি শাহ ইসতিয়াক আহম্মেদ নির্বাচন না করায় নির্বাচনের জয়ী হবার পরে চেয়ারম্যান পল্টুর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে ঘিরে ধরে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে যায়। আমি সরকারের কাছে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করা ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার বাদী করছি।
অন্যান্য বক্তারা চেয়ারম্যান শাহ ইসতিয়াক আহম্মেদের এমন সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যকলাপ বন্ধ করা ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার সরকারের কাছে দাবি জানায়। অভিযোগ অস্বীকার করে ফুকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ইসতিয়াক আহম্মেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি, আমি জনগণের সেবা করতে চাই। আমি চাঁদাবাজি, হামলা ভাংচুরসহ কোনো অপকর্মের সাথে জড়িত নই। যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর