ফেনী শহরের বিভিন্ন শপিংমলসহ বিভিন্ন হাট বাজারে জমে ঈদ বাজার। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবার প্রায় ১৫ রোজার পর থেকে বিভিন্ন মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা বেড়েছে চাপ। ঈদের বাজার করছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মনুষ। চাহিদার কথা মাথায় রেখে কাপড়ের দোকান সাজিয়েছেন দোকানিরা। এবার নারীদের পছন্দের জামার শীর্ষে রয়েছে সারারা কিংবা জারারা। এ জেলার শতকরা ৮০ ভাগ পরিবারের কর্তারা দেশের বাহিরে থাকায় ফরেন্স রেমিটেন্স খ্যাত ফেনীতে বেচ-কেনার ধুম পড়তে শুরু করেছে। রাত ১২টার পরও বিভিন্ন মার্কেটে দেখে যায় ক্রেতাদের ভিড়।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই বছর করোনার কারণে মানুষের আয়-রোজগার সীমিত ছিল। স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়িতে ঈদ, পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন উৎসবে কেনা কাটায় মন্দা ছিল।
বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের জামা-ফ্রক, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শাড়ি ও বয়সীদের লুঙ্গি, কাপড়ের চাহিদায় মাথায় রেখে দোকান সাজানো হয়েছে। তবে কসমেটিকসের চাহিদা থাকায় ভুঁইফোড় কোম্পানির নিম্নমানের প্রসাধনী বিক্রি করছেন কেউ কেউ। ঈদে মেয়েদের আকর্ষণীয় পোষাকের তালিকায় প্রথমে রয়েছে সারারা জারারা আরও রয়েছে লেহেঙ্গা, স্কাট ও ফ্লোরটার্চ আর বুটিকসের থ্রীপিস, কাটা থ্রীপিস, ভারতীয় শাড়ি, কাতান, সিল্ক, টাঙ্গাইল শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, জামদানি শাড়ি। তবে বিক্রেতারা জানান, যে পরিমাণ ড্রেস তাদের কাছে আছে সে তুলনায় বিকিকিনি কম।
এদিকে, পুরুষরা পাঞ্জাবি ও সেন্ডেলতো কিনছে তাছাড়া কিনছে বিভিন্ন ব্যান্ডের জিন্স প্যান্ট, গেঞ্জি, শার্ট। পাশাপাশি মেয়েরা বাহারী জামার সঙ্গে ম্যাচ করে কিনছেন গহনাসহ বিভিন্ন ব্রেন্ডের প্রসাধনী। তবে গতবারের চেয়ে এবার জামা-কাপড়ের দাম বেশি বলে বলে জানান তারা। দোকানিরা জানান, তাদের ক্রয় বেশি দামে।
জীবন নামের এক ক্রেতা জানান, বিভিন্ন জামা কাপড়ে হাত দেয়া যাচ্ছে না দামের কারণে। আগে যে জামাটি ১৫০০ টাকা ছিল এখন সেটি ৩ হাজার অথবা ৩৫০০ টাকা করে চাওয়া হচ্ছে।
সানিলা নামের এক ক্রেতা জানান, এমনিতে বিভিন্ন পোশাকের দাম লাগামহীন তার উপর দোকানিরা যে যেভাবে পারছে দাম হাঁকাচ্ছে। প্রশাসনের তদারকি চান তিনি।
ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক জানান, অতিরিক্ত বাড়তি দাম হাঁকানোর অপরাধে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে, মার্কেটগুলোতে বখাটেদের উৎপাত রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তবে তাদের দৌরাত্ম ঠেকাতে পুলিশের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা।
মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত