চাঁদপুর জেলায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে (বিজিএফ) ২৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার সকালে জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব খাদ্য সহায়তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য গত ২৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসক মেঘনা উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ৩ অক্টোবরের মধ্যে যাতে নিবন্ধিত জেলেরা খাদ্য সহায়তা পান।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর জেলেদের হালনাগাদ সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬১৫ জন জেলের জন্য খাদ্য সহায়তার বরাদ্দ আসে ১১৪০.৩৭৫ মেট্রিক টন চাল। এসব চাল গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতি টন পরিবহন ব্যয় ধরা হয় ২৫০ টাকা।
হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আশরাফুল হক বলেন, আমাদের উপজেলায় ১২ হাজার ৩০৩ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে এই বিষয়ে অভিযোগ করেনি।
চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। জেলে বাবুল মিজি বলেন, এবার চাল ওজনে ঠিক পেয়েছি। কারণ দু’জন জেলেকে ২৫ কেজি করে ৫০ কেজির বস্তা দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আলাদা করে ওজন দিতে হয়নি।
সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূজার বন্ধের কারণে সদরে চাল বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নিবন্ধিত সব জেলের চাল পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রত্যেক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে জেলেদের (বিজিএফ) চাল বিতরণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই