কৃষকদের প্রতি কেজিতে আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১৩ টাকা। কৃষক পর্যায়ে বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৯ টাকা। প্রতি কেজিতে লোকসান ৪ থেকে ৫ টাকা। এছাড়া হিমাগার মালিকরা ভাড়া বৃদ্ধি করায় আলু এখন চাষিদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর সাতমাথা এলাকায় রাস্তার মধ্যে আলু ঢেলে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করে চাষিরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা চাষিদের সড়ক অবরোধে রংপুর-কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর মহিগঞ্জ ও আশপাশ এলাকার কৃষকরা ভ্যান গাড়ি, কেউ বস্তা মাথায় করে আলু এনে রাস্তায় ছিটিয়ে এই প্রতিবাদ করেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে চাষিদের বুঝিয়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করান।
আলু চাষি আফজাল হোসেন, রাসেল মিয়া, বুলবুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী জেলা রংপুরের আলুচাষি আমরা এখন হতাশায়। দাম না বাড়লে কৃষক বাঁচবে না। তার ওপর ঘরে রাখা আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা দ্রুত আলু রফতানি করার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বলেন বর্তমান বাজারদর হিসেবে আলু বিক্রি করলে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা লোকসান হচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় আলু চাষি কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব বিশ্বজিত কুমার জানান, এখন যেসব আলু ঘরে রাখা আছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হিমাগারে জায়গা নেই বলে আলু রাখছে না। ফলে আলুর দাম পড়ে গেছে। সরকারি হস্তক্ষেপে বিদেশে আলু পাঠানো হলে সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কৃষি বিভাগের সূত্র মতে , রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও রাজশাহী নিয়ে গঠিত উত্তরাঞ্চলের ৪টি কৃষি জোনে আলুর আবাদ হয়েছে প্রায় পৌনে চার লাখ হেক্টর জমিতে। ৮০ লাখ টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হওয়ার কথা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই