উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হলো সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের নলকা সেতুর এক লেন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা খুলে দেন সাসেকের প্রকল্প পরিচালক ড. ওয়ালিউর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে নবনির্মিত নলকা সেতুর এক লেন খুলে দেওয়া হলো। এই লেনটি খোলার মধ্য দিয়ে এতদিনের যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ থেকে মুক্ত হতে হলো মহাসড়কটি। এতে করে এ মহাসড়কে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে আসবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাসেক-২ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক জয়প্রকাশ চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক-১ গোলাম মুর্তজা, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক-২ হামিদুল হক, বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাসেক-২ প্রকল্প ব্যবস্থাপক আহসান মাসুদ বাপ্পী, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৩ মাহবুবুর রহমন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৪ মামুন কায়সার, উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ আবু সাদ, সাসেক-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূর-এ আলম, সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম তরফদার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের প্রকল্প ব্যাবস্থাপক এখলাসুর রহমানসহ অনেকে।
ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২ জেলার সড়ক পথে যোগাযোগের অন্যতম রুট বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। ১৯৮৮ সালে এ মহাসড়কের নলকা নামক এলাকায় ফুলজজোড় নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ হওয়ার পর এ সেতুর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। কমতে থাকে এর স্থায়ীত্বকাল। একপর্যায়ে সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় এর ওপর দিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করে যানবাহন। এ কারণে জরাজীর্ণ এ সেতুটিকে ঘিরে প্রতিবছর ঈদেই পুরো মহাসড়কে ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে সাসেক-২ প্রকল্পের এলেঙ্গা-রংপুর চারলেন মহাসড়ক নির্মাণের আওতায় নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৮৯ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির ওপর রেলিং নির্মাণ, একটি লেনের কার্পেটিং অলঙ্কারকরণ ও সৌন্দর্য্যবর্ধনসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি। কিন্তু আসছে ঈদে বাড়তি গাড়ির চাপ সামাল দিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সোমবার সেতুর একটি লেন খুলে দেওয়া হলো।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ