মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।
শনিবার বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে জড়ো হচ্ছেন ঘরমুখো লোকজন। সকলের আশা প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করা। ঘাটে একটু দেরি হলেও দূরপাল্লার যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দেই ফেরিতে উঠে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ বাসের যাত্রীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। এ সকল বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে ঘাটে যাওয়ার কোনো যানবাহন নেই। নেই কোনো ধরনের রিকশা-ভ্যান। তাই বাধ্য হয়েই লোকজন পায়ে হেঁটে লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে যাচ্ছেন।
এই নৌপথের যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, নতুন বিয়ে করেছি বউ নিয়ে এবারই প্রথম বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু এতো দূর পায়ে হেঁটে যাওয়া খুবই কষ্ঠ হচ্ছে। তাই বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে ঘাটে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, এবার রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি। ফেরিতেও ভোগান্তি কম, শুধু লোকাল গাড়ির যাত্রীদের যদি কোনো ধরনের যানবাহনে ঘাটে যাবার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে ভালো হতো।
সকালের দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কম ছিল। ঘাটেও লোকজনের চাপ কম ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহনের চাপও। ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় কম ভোগান্তিতেই ঘাট পার হতে পারছেন বাস যাত্রীরা। তবে লোকাল বাসের যাত্রীদের অভিযোগ ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘাটে যাবার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে ঘাটে যেতে হচ্ছে। রাস্তায় কোনো সমস্যা নেই। এখানে এসেই যত ভোগান্তি।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ পথ লোকজন পায়ে হেঁটে ঘাটে যাচ্ছেন। কেউ কেউ রাস্তার পাশে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ২১ জেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে। সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু হয়। বতর্মানে এই নৌরুটে ২১টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে যাত্রীদের তুলনায় যানবাহনের চাপ কম। বর্তমানে পাটুরিয়া ঘাটে অর্ধশতাধিক বাস, দেড়শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও তিনশতাধিক ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সমস্যা হবে না। যাত্রীদের ভোগান্তিও হবে না। কারণ সবকটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়াও ফেরি পারাপারে সময়ও কম লাগছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীরা আসা মাত্রই ফেরির দেখা পাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন