বগুড়ার শিবগঞ্জের মাঝিহট্ট ইউপির খেউনি বিন্যাচাপড় গ্রামে হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী তাণ্ডবে ১৭টি বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বুলুু হত্যাকাণ্ডের পর গ্রামটি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ার পর স্থানীয় 'বাদশা বাহিনী' এই তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, বগুড়ার শিবগঞ্জের খেউনি গ্রামে জায়গা নিয়ে বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হন ওই গ্রামের বুলু মিয়া (৪৫)। পরে আহত বুলুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে পুরো গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। আর সেই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে মোসলেম উদ্দিনের ছেলে বাদশার নেতৃত্বে একটি বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্যরা রাত হলেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে লুটপাট শুরু করছে। গরু, ছাগল, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ খাদ্য সামগ্রী প্রতি রাতেই লুট করা হচ্ছে। কখনো কখনো নারীদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে কেউ কোন অভিযোগ দিচ্ছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এই বাহিনী মামলার ভয় দেখিয়ে যার কাছে যা পাচ্ছে তাই লুট করে নিচ্ছে। গত শুক্রবার সকাল ১১টায় মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী সাহানাসহ সব ইউপি সদস্যরা খেউনি গ্রামে লুটপাট ও ভাঙচুর করা বাড়িঘর সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং ওই গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আনার জন্য উঠান বৈঠক করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লুটতরাজ বন্ধ ও দুষ্কৃতীকারীদের দৌরাত্ম্য থামাতে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় 'বাদশা বাহিনী' দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, ওই গ্রামে সার্বক্ষনিক গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তারপরও কোনো ঘটনা ঘটলে থানা পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ওই গ্রামে কেউ যেন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে না পারে সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল