টাঙ্গাইলের সখীপুরে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গ্রাম, মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় ‘মাংস সমিতি’ গড়ে তোলা হয়েছে। সারাবছর মাসিক সঞ্চয় জমা করে ঈদের সময় গরু কিনে, সেই মাংস ভাগ করে নেওয়াই এই সমিতির উদ্দেশ্য বলে জানান সদস্যরা।
জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ৫’শরও বেশি সমিতি গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণ করবে। প্রতিটি মাংস সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩০ থেকে ৬০ জন। সারাবছর একটু একটু করে সঞ্চয় করে ঈদের দুই একদিন আগে পশু কিনে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন সমিতির সদস্যরা। এতে করে ঈদে বাড়তি আনন্দ পান এবং তাদের আর্থিক চাপও কমে যায়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ধরনের মাংস বা গরু সমিতি গঠন করা হয়। শুরুতে শুধু নিম্নবিত্ত মানুষেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও মাংস সমিতি করছেন।
উপজেলার হামিদপুর গ্রামের অটোচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। ঈদে পোলাপানগো জামা কাপড় দিতেই সব টেকা শেষ। কোনোমতে চিনি সেমাই কিনছি। মাংস কেনার টাকা পাব কোথায়? কিন্তু সমিতি কইরা এইবার প্রায় ৬ কেজি গরুর মাংস পাব। সেই মাংস পোলাপানরে খাওয়াইতে পারমু।’
চৌরাস্তা গ্রামের মাংস সমিতির ইসমাইল হোসেন জানান, তাদের সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৫৩ জন। প্রত্যেকে মাসিক ২শ টাকা করে জমা দেন। বছর ঘুরে সমিতিতে জমা হয় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে গরু কিনে সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রত্যেকের ভাগে পাঁচ কেজি করে মাংস পড়বে। তাদের এলাকাতেই এ ধরনের অন্তত দশটি সমিতি রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ