নীলফামারীতে কালবৈশাখীর ঝড়ে সহস্রাধিক কাঁচা ঘরবাড়ী ভেঙে পড়েছে। এসময় ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠে থাকা বোরো ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল। বিদ্যুতের তারে গাছ উপরে ও ডাল ভেঙেপড়ে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ব্যাহত হয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা সদর, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে ওই ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে এসব উপজেলার অন্তত সহস্রাধিক কাঁচা ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়ে। মাঠে থাকা ৮১৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলা সদর, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে ওই ঝড় বয়ে যায়। কোথাও কোথাও ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এমন ঝড়ে ৮১৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘ওই ৮১৬ হেক্টরের মধ্যে ভুট্টা ৫০০ হেক্টর, বোরো ধান ২৫০ হেক্টর এবং মরিচসহ অন্যান্য শাক-সবজি ৬৬ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ চলছে।’
নীলফামারী বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পিনন বিভাগ নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওশাদ আলম বলেন, ‘শুক্রবার রাতের ঝড়ে সরবরাহ লাইনের ১৩টি খুটি ভেঙে পড়েছে। বড় বড় গাছ পড়ে সরবরাহ লাইনের তার ছিড়েছে। এ কারণে রাত সাড়ে ১২টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শনিবার আংশিক কিছু লাইন চালু করা গেলেও বিকাল ৪টা পর্যন্ত শহরের সকল লাইন চালু করা সম্ভব হয়নি। বন্ধ থাকা লাইনগুলো চালু করতে আরও কিছু সময় লাগবে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল