১৯ মে, ২০২২ ১২:৪৯

স্কুল ছুটি দিয়ে শ্রেণি কক্ষেই কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

স্কুল ছুটি দিয়ে শ্রেণি কক্ষেই কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিদ্যালয় চলাকালীন স্কুল ছুটি দিয়ে শ্রেণি কক্ষেই রমরমা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল শিক্ষকদের এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এমন চিত্র দেখা গেছে নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের ১৯ নং শাকরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। 

স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিদিষ্ট সময় বিকাল ৪টার আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মাহবুবুর রহমান। ঘটনার সত্যতা জানতে বুধবার বিকাল ৩.১৩ মিনিটে শাকরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় নিদিষ্ট সময়ের পূর্বেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে মাত্র ২ জন শিক্ষক বাদে সবাই চলে গেছেন। এসময় শ্রেণি কক্ষেই রমরমা কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন কুমার রাহা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষকদের কাছে আমরা একপ্রকারের জিম্মি হয়ে পড়েছি। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য বাধ্য হয়েই আলাদা ভাবে শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়তে দিতে হচ্ছে। ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের রেখে মাহবুব স্যার আমাদের বাড়ি চলে যেতে বলেছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষক কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম তাই বাচ্চারা যার যার মতন চলে গেছে। শ্রেণি কক্ষে কোচিং চালানো শিক্ষক সুজন কুমার রাহা বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। এরপর থেকে আর শ্রেণি কক্ষে প্রাইভেট পড়াবো না। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আইরিন খানম জানান, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া অন্যায়। আর শ্রেণি কক্ষে কোনোভাবেই কোচিং করানো যাবে না। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী রাশেদ মামুন বলেন, শ্রেণি কক্ষে কোচিং নিষিদ্ধ। যারাই জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর