দীর্ঘদিন ধরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। এছাড়াও ঘোড়াঘাট উপজেলায় নতুন ও পুরাতন সৃষ্ট মিলে ২৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে বিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসনিক ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়নে ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করি। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৫-৬ ঘণ্টা ক্লাস নেই। আমাদের নির্ধারিত ক্লাস নেয়ার পাশপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। যে দিন দাপ্তরিক কাজে অফিসে ছুটতে হয় সেদিন ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না। এছাড়াও বিদ্যালয় বহির্ভুত রাষ্ট্রীয় কাজে ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, শিশু জরিপ, আদমশুমারিসহ অফিসিয়াল নানা কাজ করতে হয়।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল আলম জানান, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক শূন্য পদের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ