২৫ মে, ২০২২ ১৮:৪৭

গাছে গাছে দোল খাচ্ছে আম চাষিদের স্বপ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

গাছে গাছে দোল খাচ্ছে আম চাষিদের স্বপ্ন

গাছে গাছে দোল খাচ্ছে আম চাষিদের স্বপ্ন

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের বাগানগুলো নানা জাতের আমে এখন পরিপূর্ণ। গাছগুলোতে আমের আকার বড় হতে শুরু করেছে। এ বছর জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। বর্তমানে সারি সারি আমবাগানের প্রায় প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের আম। যার মধ্যে গুটি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ফজলিসহ নানা প্রজাতির আম উল্লেখযোগ্য।

তবে এবার জেলার গোমস্তাপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আম হচ্ছে ফজলি ও আশ্বিনা জাতের। এ জাতের আম সুমিষ্ট ও আম চাষিরা দাম ভালো পাওয়ার আশায় থাকায় প্রতিটি গাছে দোল খাচ্ছে আম চাষিদের স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হয়। ফলে আম চাষিরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টার কোনো ঘাটতি রাখছেন না। ঘর থেকে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আম চাষি এরশাদ আলী জানান, এবার তার বাগানে প্রায় ২০ লাখ টাকার আম রয়েছে। তাই লাভের আশা নিয়ে বাগানগুলো দিনের পর দিন পরিচর্যা করে চলেছেন তিনি। তবে গত কয়েকদিনের ঝড়ে তার আমের কিছুটা ক্ষতি হলেও সামনে আমের বাজার যদি ঠিক থাকে তাহলে সেই ক্ষতি তিনি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আম পাড়া শ্রমিক খোরশেদ আলম বলেন, প্রতিবছর তিনি আমের পুরো মৌসুমে আম পাড়ার কাজ করেন। এবছরও আম পাড়ার কাজ করবেন তিনি। তিনি পুরো মৌসুমে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করেন এবং তাতে তার সংসার ভালো চলে যায়।

গোমস্তাপুর উপজেলার আম চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, এবছর আম উৎপাদন গতবারের তুলনায় খুবই কম। তাই বাজারে এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে।

রহনপুর আম আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেডের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এবছর আমের উৎপাদন অনেক কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবে বলে তিনি মনে করছেন। তিনি আরও জানান, রহনপুর আমের বাজারে আগামী এক সপ্তহের মধ্যে বাজারে আম নামতে পারে। এছাড়া ওজনের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো রাজশাহী বিভাগে ৫০ কেজিতে মণ নির্ধারণ করা আছে এবং এখন পর্যন্ত সেটাই বলবৎ আছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, আবহাওয়া খারাপ হলেও এবছর আমের তেমন ক্ষতি হয়নি। এ উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। যার গাছের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০টি। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৫ মেট্রিক টন। আমের জাতের মধ্যে আশ্বিনা আম ১২৩০ হেক্টর জমিতে সব থেকে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। চলতি বছরে আমের মুকুল হয়েছে ৯৫% । এবছর বাজারে আম বিক্রির সময় নির্ধারণ করা হয়নি। আম পাকলে বাজারে বিক্রি করা যাবে। তাই ব্যবসায়ীরা এবার স্বস্তিতে আম বিক্রি করতে পারবেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর