খুলনায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ আহবান করে মহানগর ও জেলা বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, সমাবেশে অংশ নিতে বিকালে তেরখাদা উপজেলা থেকে বিএনপির একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসার সময় কেসিসি সুপার মার্কেটের সামনে মিছিলে বাধা দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ খবর কেডি ঘোষ রোডে সমাবেশ স্থলে পৌছালে বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলের গিয়ে অগ্রসর হয়। পুলিশ বাধা দিলে উত্যপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ পাল্টা টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ ও পুলিশ একত্রিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। তারা সমাবেশ স্থলে এসে চেয়ার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১৭ জনকে আটক করে। সমাবেশ স্থলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিএনপি মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা জানান, আমরা শান্তিপূর্নভাবে সমাবেশ শুরু করি। সমাবেশে আসা মিছিলের ওপর প্রথম ছাত্রলীগ হামলা করে। পরে তাদের সাথে পুলিশ একত্রিত হয়ে সমাবেশ স্থলে হামলা ও ভাংচুর চালায়। বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এদিকে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ জানান, ছাত্রলীগের নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা শান্তিপূর্ন মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে আসছিল। এসময় বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের জের ধরে তাদের একটি অংশ ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করে। এসময় উত্যপ্ত পরিস্তিতি তৈরি হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এএ