তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বাড়া-কমার মধ্যে থাকায় দূর্ভোগ কমেনি তিস্তা পাড়ের মানুষের। রবিবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে ও বিকেলে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ।
এছাড়া টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী স্বপন বাঁধ মসজিদ পাড়া গ্রামের দেড়শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী এসব পরিবারের বাড়িঘরে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ফসল ও রাস্তা-ঘাট। পানিবন্দি পরিবারগুলো বেড়ি বাধেঁ আশ্রয় নিয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপদে পড়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলি। পানি বাড়ার ফলে ওই এলাকা গুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে । বন্যার কারনে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন, পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন, ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়ন, খালিশা চাপানী ইউনিয়ন, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান,টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গতকাল রাত থেকে পানির প্রবাহ বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পানিবন্দি পরিবারগুলির মাঝে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের শুকনো খাবার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট খাবার স্যালাইন ও প্রত্যেকের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ