একদিকে পাহাড় ধস। অন্যদিকে বন্যা। ভাঙছে পাহাড়ি সড়ক। আবার সারাদেশের সাথে বিচ্ছিন্ন হতে পারে রাঙামাটি। এমন শঙ্কায় দিন কাটছে পাহাড়ের মানুষ। টানা বৃষ্টি বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও। তবে সড়ক বাঁচাতে দেওয়া হচ্ছে বালির বস্তার বাঁধ।
রবিবার সকালে চট্টগ্রাম-রঙামাটি প্রধান সড়কসহ শহরের বিভিন্ন বিধস্ত এলাকায় পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। এসময় তিনি সড়ক ভাঙন রোধ করতে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিদের্শন দেন। অন্যদিকে মারাত্মক দুর্ভোগের পড়েছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে উপজেলার বেশ কিছু এলাকা। প্লাবিত হয়েছে ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে রাঙামাটি শহরের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মারাত্মক পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ভেঙে পড়েছে শহরের রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ি এলাকার সড়কের বিরাট অংশ। ভাঙতে শুরু করেছে রাঙামাটি-চট্টগ্রামের প্রধান সড়কও। একই সাথে আতঙ্ক বেড়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসরতদের মধ্যে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র। আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে এসব পরিবারগুলোকে।
তবে এর চেয়ে বেশি মারাত্মক অবস্থা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি হয়েছে কাচালং নদীতে। প্লাবিত হয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌরসভা, আতমলী, রূপকারী ও বঙ্গলতলী ইউনিয়নের আশপাশের প্রায় ১০টি এলাকা। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলসহ জমি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষণে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়ক ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি ধসের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের সর্তক করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় খোলা হয়েছে ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র। এরই মধ্যে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড মাষ্টারপাড়া, পুরান মারিশ্যা, মধ্যমপাড়ার পানিবন্দি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রের আসতে শুরু করেছে। তাদের গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নব নির্বাচিত পৌর মেয়র জমির হোসেন। একই সাথে তিনি বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযানের জন্য নৌকা ও ট্রলার দিয়ে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন