বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের তিন বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহীন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে শাহীনের বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় রাতেই শাহীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর শাহিন পুলিশের কাছে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতার শাহীন পেশায় ইজিবাইক চালক। সে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মৃত লাল মিয়ার ছেলে এবং পোটকাখালী এলাকার মীম আবাসনের বাসিন্দা।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, শাহিন ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছে। সোমবার শাহীনকে বরগুনা নারী-শিশু নির্যাতন দমন আদালতে হাজির করা হলে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
শিশুটির মা জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শাহীন তার শিশুকে ফল খাওয়ানোর কথা বলে আবাসনের ঘরে নিয়ে যায়। চারটার দিকে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে মায়ের কাছে শাহীনের আচরণের কথা খুলে বলে। সন্ধ্যায় শিশুটিকে তার মাসহ এলাকাবাসী থানায় নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেফতার শাহীনের মা রাবেয়া বেগম বলেন, আমার ছেলেকে এর আগেও মিথ্যা অভিযোগে একাধিকবার ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি সঠিক তদন্তের দাবি জানাই। আমার ছেলে অপরাধ করলে তার শাস্তি হোক। আর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সম্মানহানি করলে অপবাদকারীদেরও বিচারের আওতায় আনা হোক।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে ঘটনাটি শুনে অভিযোগ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে গ্রেফতার শাহিন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই