পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মণ্ডতোষ ইউনিয়নের দওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। আর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।
সহকারী শিক্ষকের অভিযোগ, ‘ঘুষের টাকা না দেওয়ায় তাকে পেটানো হয়েছে।’
সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই স্কুলের ১১ জন শিক্ষক-কর্মচারী উচ্চতর বেতনস্কেলের (টাইমস্কেল) জন্য রেজুলেশন করে আবেদন করেন। সেই আবেদন ফরমে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরবাবদ জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। রবিবার দুই মাসেও আবেদনপত্রগুলো প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর না করার কারণ জানতে চান সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তখন প্রধান শিক্ষক ‘জনপ্রতি দুই হাজার টাকার পরিবর্তে ১৫শ’ টাকা করে দাবি করেন। শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এর প্রতিবার করলে একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক তাকে চেয়ার দিয়ে মারপিট করেন।
পাল্টা অভিযোগ করে প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘এখানে ঘুষ চাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নানা কারণে টাইমস্কেল জন্য রেজুলেশন করতে সময় লেগে গেছে। রবিবার এ নিয়ে সহকারী শিক্ষকের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষক আমার টেবিলের ওপর জুতা রেখে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন আমি মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে গেলে সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আমার মোবাইল ফোন কেরে নিয়ে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তখন নিজেকে বাঁচাতে আমি তাকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করেছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছেন। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দুইজনই আমার কাছে এসেছিলেন। আগামী বুধবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ