চাঁদপুরে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। খামারিরা বলছেন, দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের অনেকেই লোকসান আতঙ্কে রয়েছেন। রাসায়নিক, কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া তদারকির কথা জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা।
খামার কর্মচারী সোহাগ ও ফয়সাল বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরনে আমরা খামার কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করছি। গেল দু’বছর করোনা কারণে অনেক মালিককে লোকসান গুনতে হয়েছে। বর্তমানে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিদেশী পশু আমদানিকে নিয়েও আমরা আতঙ্কে রয়েছি। তবে পূর্বের লোকসান পুষিয়ে আনতে আমাদের সাথে খামার মালিকগন দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
খামার মালিক হাজী আব্দুল মালেক বেপারী বলেন, বিগত দুই বছর করোনার কারনে আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। গো খাদ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়া এবং বিদেশ থেকে গরু আমদানি করা হলে এবারও আমাদের অনেক খামার মালিককে লোকসান গুনতে হবে। দেশি খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে বিদেশি পশু আমদানি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
চাঁদপুর প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের ট্রেনিং অফিসার ডা. জুলহাস আহমেদ বলেন, খামারিরা যাতে কোন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার ছাড়াই কোরবানি পশু মোটাতাজাকরনের প্রক্রিয়া চলছে। সেজন্য ক্ষতিকারক বিষয়গুলো উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা প্রতিনিয়ত খামারগুলোতে তদারকি করছে। এবার চাঁদপুরে কোরবানির জন্য ছোট, বড় ও মাঝারি মিলিয়ে ২০ হাজার ৬শ ৬১টি খামারে লক্ষাধিক পশু মোটাতাজাকরন প্রস্তুতির কাজ চলছে। কোরবানীর জন্য জেলার চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার। তবে এবছর কোরবানীর চাহিদা মিটিয়ে, অতিরিক্ত প্রায় ৩০ হাজার পশু চাঁদপুর থেকে অন্যত্র সরবরাহ করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ