কুড়িগ্রামে অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখনও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ২য় দফা বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। স্থানীয় পাউবো শুক্রবার বিকেলে জানায়, ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার সে. মি ২ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে এসব নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসমূহে এখন পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়াও তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় ২য় দফা বন্যায় জেলার কুড়িগ্রাম সদরসহ নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী এ তিন উপজেলার ৫০টি চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলসমুহ প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।নতুন করে ওই সব এলাকায় ফের বেশ কিছু ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করেনি।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নেই ধরলার অববাহিকায় অন্তত ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ দ্বিতীয় দফায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী পাঁচগাছী ও হলোখানা ইউনিয়নসহ ধরলা ও দুধকুমরের অববাহিকার ইউনিয়নগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকাতেই অন্তত ২০ হাজার মানুষ নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে বন্যার কারনে অনেক পরিবার দুদফা বন্যায় হাফিয়ে উঠেছে। তাছাড়া তিস্তা নদী ও ধরলা নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙনও চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ