২ জুলাই, ২০২২ ১৭:৪৬

পদ্মা সেতুর সুফল; ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় গরু ব্যবসায়ীরা

রোকনুজ্জামান পারভেজ, শরীয়তপুর:

পদ্মা সেতুর সুফল; ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় গরু ব্যবসায়ীরা

কোনও প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা পাড়ি দিচ্ছেন গরু ব্যবসায়ীরা। আগে যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো ফেরিঘাটে, এখন মাত্র কয়েক মিনিটেই নদী পাড় হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে কোরবানির পশু বহনকারী ট্রাকগুলো।

যশোর থেকে গরু নিয়ে ঢাকায় যাওয়া ব্যবসায়ী আক্কাস মিয়া বলেন, ভোগান্তি ছাড়াই এতো দ্রুত পাড় হতে পারবো ভাবিনি। যশোর থেকে গরু নেয়ে ঢাকা যেতে হলে আগে দুই থেকে তিন দিন পাড় হয়ে যেত কখনও কখনও গরু মারা যেত। 

জানা যায়, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যশোর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বরগুনা, পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলা থেকে গরু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে যায়। তাদের বাংলাবাজার শিমুলিয়া, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, নরসিংহপুর চাঁদপুর ফেরি ঘাটে পারাপার হতে হত। যানযটের কারণে তাদের দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতো।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের আগে ঢাকার বাজার ধরতে হলে ঝুঁকি নিয়ে আসতে হত। গরু লালন পালন করে সেখানেই ফরিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হত। কারণ গরু একটু এদিক সেদিক হলেই মারা যায়। তাই ঝুঁকিতে যেতাম না। যে যেই দাম বলত সেই দামেই গরু বাড়ি থেকে বিক্রি করে দিতাম। এতে গরু লালন পালন করে তেমন লাভ হত না। তবে এবার পদ্মা সেতু হওয়াতে ঢাকায় দ্রুত সময়ে মধ্যে গরু নিয়ে যেতে পারছি। আর যেই ঝুঁকি ছিল তাও নেই।

যশোর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী লুৎফর বয়াতি বলেন, আমি এই রুটে নতুন না। ত্রিশ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করি। ফেরি ছাড়া যাওয়ার কোন রাস্তা আমাদের ছিল না। হয়ত পাটুরিয়া বা শিমুলিয়া অথবা চাঁদপুর ঘাট আমরা ব্যবহার করতাম। এতে এলাকা থেকে গরু কিনে ঢাকায় যেতে যেই সমস্যা হত তার থেকে বেশি সমস্যা হত ফেরি ঘাটে। দিনের পর দিন বসে থাকতে হত। আবার গরম পড়লে গরু অসুস্থ হয়ে মারা পর্যন্ত যেত। পদ্মা সেতু হওয়াতে এখন আর সেই সমস্যাটি হবে না। পুরো রাস্তায় কোথাও কোনো যানজট পড়েনি। 

পদ্মা সেতু জাজিরা পয়েন্টের টোল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্টে নেই যানজট। নিরবিচ্ছিন্নভাবে পাড় হয়ে যাচ্ছে গাড়ি। প্রতিদিনই আসছে গরুর গাড়ি। টোল দিয়েই পাড় হয়ে যাচ্ছে পদ্মা সেতু।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর