নানা কারণে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউপি উপ-নির্বাচনটি আলোচিত। আগামী ২৭ জুলাই ইভিএম এর মাধ্যমে উপ-নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাপটে বেকায়দা রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপি ঘরানার প্রার্থী আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে বলে ভোটারা জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস, আওয়ামী লীগ ও নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ বাদশা গত ৩০ মার্চ ইন্তেকাল করেন। পরে ওই ইউপির চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করে ৯ জুন নির্বাচন কমিশন তফশীল ঘোষণা করেন। এরপর দলীয় মনোনয়ন পেতে ১৭ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান নূর ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুল ইসলাম জুয়েল, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আয়নাল হক, সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা, ও শাহ পরান আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে এই ৬ জনের তালিকা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়। ২৬ জুন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুল ইসলাম জুয়েলকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে ওই ইউনিয়নের দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে চরম অসন্তোস এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এদিকে দলীয় প্রতীক না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা ও সদ্য প্রয়াত দলীয় সমর্থিত চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাদশার ছেলে জাকারিয়া। অনেক ভোটাররা বলছেন এ ইউপিতে বিদ্রাহীদের সমর্থন বেশী হওয়ায় দলীয় প্রার্থী তেমন সুবিধা করতে পারবে না। এ ছাড়াও বিএনপি ঘরানার একক প্রার্থী হওয়ায় ফজলুল হক দেলোয়ার রয়েছেন সুবিধাজনক অবস্থানে।
গত ২৮ জুন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মো. হাফিজুল ইসলাম জুয়েল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফজলুল হক দেলোয়ার, রফিকুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন, সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা ও জাকারিয়া মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৭ জুলাই এবং ৮ জুলাই প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হবে। ২৭ জুলাই ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৫১৭ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৬৫৬ জন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল