কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি কমে ২য় দফা বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড শনিবার দুপুরে জানায়, সকল নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার নতুন করে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এ অবস্থায় ২য় দফা বন্যায় জেলা সদর, নাগেশ্বরী,ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত থাকায় পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।
বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ এখনও রয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট। অনেক এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ঘর বাড়ি পানিতে পানি এখনও থাকায় স্বাভাবিক হয়নি জীবনযাত্রা। এছাড়াও পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙনও শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি চরের আমেনা বেগম জানান, দুই সপ্তাহ পর বন্যার পানি নেমে গেলেও বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখনও পুরোপুরি পানি নেমে যায়নি। একবার সরকারী রিলিফ পেলেও দ্বিতীয় দফায় আর কোন কিছুই পাইনি।
সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, চলতি বন্যায় আমার ইউনিয়নে ২২টি ঘর নদীতে ভেসে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে তালিকা দিয়েছি। উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আবুল হোসেন জানান, কয়েকটি চরে প্রায় শতাধিক পরিবার তীব্র নদী ভাঙনে নদীগর্ভে তাদের ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকের বাড়িঘর পানিতে দেবে গেছে। এরকম সদর উপজেলা,উলিপুর, চিলমারী,রৌমারী,রাজিবপুর,নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বেশ কিছু মানুষের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা ও নদী ভাঙনে জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সদর ও উলিপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আপাতত প্রায় তিন শতাধিক পরিবার নদীতে তাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম