ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক ভাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ দুটি মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে অনেকগুণ। এ মহাসড়ক দুটি দিয়ে এখনও ব্যাটারি চালিত অটো ও ভ্যান অবাধে চলাচল করতে দেখা যায়। ভাঙ্গার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কমপক্ষে ২ হাজার ব্যাটারী চালিত অটো ও ভ্যান রয়েছে। পুলিশ প্রায়ই অটো ও ভ্যান মহাসড়কে পেলে জরিমানা করছে। তার পরও মহাসড়কে অবাধে ব্যাটারি চালিত অটো ও ভ্যান চলাচল করছে।
একাধিক অটো চালক জানান, তারা কিস্তিতে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা দামে একটি অটো কিনছে। এতে আয় হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে হাজার টাকা। এতে খেয়ে পড়ে তারা ভাল আছে। এ কাজটি তত বেশি শারীরিক পরিশ্রমের না হওয়ায় অনেকেই দিন মজুরের কাজ বাদ দিয়ে অটো ও ভ্যান চালাতে আসছে। ভাঙ্গায় কিশোর থেকে শুরু করে ৬০ উর্ধ্ব ব্যক্তিরা অটো চালিয়ে জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কমিউনিষ্ট পার্টির ফরিদপুর জেলা কমিটির সদস্য সুধিন কুমার সরকার বলেন, ব্যাটারি চালিত অটো বন্ধ হোক এটা আমরা চাই না। এর উপর ভাঙ্গার অসংখ্য পরিবার নির্ভরশীল। অটো বন্ধ হলে এরা বেকার হয়ে পড়বে। আমদানী হচ্ছে বলেই সাধারণ মানুষ এ গাড়িগুলো কেনার সুযোগ পাচ্ছে। মহাসড়কে এগুলো না চালিয়ে গ্রামীন সড়কে চালানো ভালো।
ভাঙ্গা এলাকার কমপক্ষে ৫ জন অটো চালক জানান, একটি অটোতে মাসে কমপক্ষে ৩ শত ইউনিট কারেন্ট পুড়ে। যাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল হয়।
ভাঙ্গার এক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমার ইউনিয়নে অটো চালকদের অটোর নিবন্ধন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় মাইকিং করেও কাজ হয়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মহাসড়কে অটো ও ভ্যান চলাচল করা নিষিদ্ধ। আমরা প্রতিদিনই মহাসড়কে অটো চলাচলে বাধা দিচ্ছি। জরিমানা করছি। আগের থেকে চলাচল একটু কমেছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল