মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৩য় ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় টাঙ্গাইলে ৩৪৯টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ৭৫টি ঘর। ঘর হস্তান্তরের জন্য সকল প্রস্তুতি সর্ম্পন্ন হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে বাসগৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। পরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে বাসগৃহের কবুলিয়ত দলিল তুলে দেয়া হবে। গৃহহীন যারা এখন পর্যন্ত ঘর পাননি তাদেরকে পর্যায়ক্রমে ঘর দেওয়া হবে।
বুধবার সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের পাইকমুড়িল গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহানা নাসরিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অতনু বড়ুয়া, বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মতিয়ার রহমান মন্টু।
সরেজমিনে সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের পাইকমুড়িলে দেখা যায়, গৃহহীন মানুষের জন্য এ সব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
ঘর পাওয়া খাজেদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী ভ্যান চালিয়ে সংসারের যাবতীয় খরচ বহন করেন। আমরা ভাড়া বাসায় বসবাস করতাম। আমাদের কোন নিজস্ব জমি-জমা নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি।’
সফিনা বেগম বলেন, ‘ঘর পেতে আমার কোন টাকা লাগেনি’। ঘরে পেয়ে আমি খুবই খুশি এবং আনন্দিত।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, ‘মুজিববর্ষে টাঙ্গাইল জেলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার প্রচেষ্টায় সকল গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩৪৯টি পরিবারের মধ্যে ঘর দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৯৩টি ঘর দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকেও ঘর দেয়া হয়েছে। গৃহহীনদের একেকটি ঘর তাদের একেকটি অঙ্গীকার।’
তিনি আরো বলেন, গৃহহীনদের ঘর দেয়ার জন্য অবৈধভাবে দখলকৃত ৪শ’ কোটি টাকার জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যেসব এলাকায় নিচু রয়েছে, ওইসব এলাকায় মাটি ভরাট করে দেয়া হয়েছে। কোন টাকা ছাড়াই তাদেরকে এ ঘর দেয়া হয়েছে। যদি কোন গৃহহীন ঘর না পায় তাহলে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে ঘর দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল