মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কালুখান্দী গ্রামে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনের নামে মাগুরার আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার পরে থানায় মামলা না নেওয়ায় সোমবার আদালতে এই মামলা করেন ধর্ষিতার বাবা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কালুখান্দী গ্রামের ইমারত মোল্যার ছেলে গোলাম রব্বানী (৪২), আমজাদ মোল্যার ছেলে আছাদ (৩৫), বাকি মোল্যার ছেলে আলমগীর (২৭) দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে রবিবার রাতে তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে এলে গোলাম রব্বানী তার সহযোগী আছাদ ও আলমগীরের সহযোগিতায় অস্ত্রের মুখে স্থানীয় একটি ইট ভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তারা ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা তাকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে পরদিন ২৫ জুলাই সকালে মহম্মদপুর থানায় আক্রান্ত স্কুলছাত্রীর বাবা মামলা দাখিল করতে যায়। কিন্তু থানা মামলা রুজু করতে তালবাহানা করায় স্কুলছাত্রীর বাবা আজ সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক প্রণয় কুমার দাশ অভিযোগ আমলে নিয়ে এটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য মহম্মদপুর থানাকে আদেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এধরনের কোনো অভিযোগ থানায় দিতে এসে ফিরে যাবার কথা আমার জানা নেই। তবু বিজ্ঞ আদালতে যদি এ ধরনের কোনো অভিযোগ দায়ের হয়ে থাকলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল