তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী মানুষগুলো আবারও আতঙ্কে সময় পার করছেন। সেই সাথে নদী ভাঙনের এবং আমনের চারার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এক মাসে তিস্তার পানি অন্তত ৬ বার বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর আগে একাধিকরার তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় অনেকের ভুট্টা, বাদাম, আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তখনই তারা আবার পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বর্তমানে তিস্তাপাড়ে অনেকেই আমনধানের চারা রোপণ করেছেন। প্রচণ্ড খরা কাটিয়ে আবার বন্যার কবলে পড়লে আমন ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাবে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের বাগেরহাট ইচলি এলাকার আজিজুল ইসলাম জানান, ক’দিন আগের বন্যায় তার ২০ বিঘা জমির ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছেন। আবার বন্যা হলে আমনের চারা তলিয়ে গেলে সহজে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। তার মত, অনেক কৃষকই আমনের চারা নিয়ে শঙ্কিত।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে পানি তিস্তার পানি বাড়বে-কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এখনও পনি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা