কয়েক হাজার গ্রামবাসীর চলাচলের সুবিধার্তে একমাত্র রাস্তাটি উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদরপুর গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. সেলিম আখতার।
লিখিত বক্তব্যে মো. সেলিম আখতার বলেন, আমরা দিনাজপুর সদর উপজেলার সদরপুর গ্রামবাসী। সদরপুরের তুলা বীজবর্ধন খামারের উত্তর দিকে বসবাস। ১৯৮৪ সালে ভূমি হুকুম দখলের মাধ্যমে এই খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। ভূমি হুকুম দখলের সময় ৭০-৮০ বছরের বেশি সময় হতে ব্যবহৃত প্রায় ২০০ মিটার লম্বা রাস্তাটিও হুকুম দখল এবং স্থানীয় অনেক বাসিন্দার বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করা হয়। সদরপুর গ্রামের বসবাসকারি দেড় হাজার লোকসহ আশেপাশের প্রায় তিন হাজার মানুষ দশমাইল হতে সৈয়দপুরগামী মূল সড়কে আসা-যাওয়ার জন্য ওই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন। সর্বশেষ ভূমি জরিপকালেও রাস্তাটিকে রাস্তা হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তুলাফার্ম কর্তৃপক্ষ তাদের হুকুম দখলকৃত এরিয়ায় প্রাচীর নির্মাণে প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেনেছি, তারা রাস্তাটিও প্রাচীর দ্বারা ঘিরে নিবেন এবং একটি বিকল্প রাস্তা ছাড়বেন। কিন্তু তারা যেভাবে বিকল্প রাস্তা দিতে চান, সেটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এখন যেখানে ২০০ মিটার পাড়ি দিয়ে মূল সড়কে আসা-যাওয়া করা যায়, সেখানে বিকল্প রাস্তায় এক থেকে দেড় কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে। এরপরেও বিকল্প রাস্তা বেশি প্রশস্ত হবে না এবং রাস্তাটিতে ৮-১০টি বাঁক থাকবে। এ নিয়ে সদরপুরের মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। তাই আমাদের দাবি তুলা ফার্ম কর্তৃপক্ষ যেন ২০০ মিটারের রাস্তাটি ছেড়ে দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করেন। পাশাপাশি হাজিপাড়া গ্রামের উত্তর-পূর্বে ও পূর্ব-পশ্চিমে প্রাচীর তোলার সময় প্রাচীর বরাবর ১০ ফুট রাস্তা ছেড়ে তা উক্ত ২০০ মিটারের রাস্তার সাথে সংযুক্ত করার জন্যও আবেদন জানানো হয়।
এজন্য আমরা সদর ইউএনও বরাবর গত ৯ জুন ও ১৮ জুলাই লিখিত স্মারকলিপি দিয়েছি। রাস্তাটি খোলা রাখার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরেও গত ২০ জুলাই স্মারকলিপি দিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন মো. হোসেন আলী, মো. মজিবর রহমান ও মো. বাবু সরকার প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল