শেরপুর কৃষি বিভাগের বিএডিসির উপপরিচালক (আলু ও বীজ হিমাগার) এর উপপরিচালক মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে এক কিশোরকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গত ১ আগস্ট শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গতকাল আদালতে ওই ভিকটিমের ১২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে ও ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আদালত পুলিশকে বিষয়টির তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম একজন রং মিস্ত্রী। কদিন যাবৎ ভিকটিম বিএডিসির সরকারি বাস ভবণে রঙের কাজ করছিল। ওই উপপরিচালক পরিবার ছাড়া একটি কামড়া নিয়ে মাঝে মধ্যে বিএডিসির সরকারি আবাসিক এলাকায় থাকেন। ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে ভিকটিম শহরের শেরী ঘাটস্থ এলাকায় বিএডিসির ভিতরের আবাসিক এলাকায় কাজ করতে গেলে লোভ ও ভয় দেখিয়ে কর্মকর্তা বলাৎকার করে। বিষয়টি নিয়ে শেরপুর কৃষি বিভাগে তোলপাড় চলছে।কৃষি বিভাগ বলছে, ওই কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে চাষিদের সরকারি আলু বীজ উৎপাদনের প্লট বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এই প্লট বরাদ্ধ সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কতিপয় লোকজনের সাথে বেশ কিছু দিন ধরে ঝামেলা চলছিল। অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে এই অভিযোগের সাক্ষিরা কথিত অভিযোগ করেছে। এই বলাৎকার মামলার সাক্ষিরা ইতিপূর্বে এই উপপরিচালকের বিরুদ্ধে হেন কোন জায়গা নেই অভিযোগ করেনি।
অন্তত ৫টি অভিযোগ ইতিমধ্যে খারিজ হয়েছে। কোন পথ না পেয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন কুৎসিত অভিযোগ করে সন্মান নষ্ট করার পায়তারা করা হচ্ছে। মামলার সাক্ষিরা এক সময় বিএডিসির সুবিদা ভোগী ছিলেন। বছর খানেক আগে খলিলুর রহমান এখানে যোগাদান করা পর থেকে কেউ কেউ সুবিধা বঞ্চিত হওয়ায় নিজেরাই অপকর্ম ঘটিয়ে কৌশলে হীন উদ্দেশ্য সফল করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে এমন দাবী কৃষি বিভাগের।এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই অভিযুক্ত কর্মকর্তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে। অফিসে খলিলুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। কর্মচারিরা বলেছেন কর্মকর্তা অসুস্থতা জনিত কারণে ৩১ জুলাই থেকে ছুটিতে আছেন।
ঢাকা থেকে ওই অফিসে আসা কৃষি বিভাগের আলুর মান নিয়ন্ত্রণকারি উপপরিচালক এএসএম খায়রুল হাসান বলেছেন, খলিলুর রহমানের সাথে স্থানীয় কিছু সুবিধাভোগীর চরম বিরোধের খবর কেন্দ্র পর্যন্ত অবহিত। অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে খায়রুল হাসান জানিয়েছেন, বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হোক। একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন বাজে অভিযোগ দুঃখ জনক। সুবিধা না পেলেই মানুষ এত নীচে নামতে পারে এমন ভাবা কষ্ট কর। শেরপুর সদর থানার চলতি দায়িত্ব ওসি (তদন্ত) আবু নাঈম মোঃ নাহিদ হাসান বলেছেন, তদন্ত চলছে। বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ