চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় ২২ জনের জামিন হয়েছে। বুধবার দুপুরে তারা কচুয়া আদালতে হাজির হলে বিচারক মো. নাজমুল হাসান চেীধুরী সবার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত সোমবার কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরু হওয়ার আগে ও পরে কচুয়া পৌরসভার বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের অনুসারীরা ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে মো. সালাউদ্দিন সরকার কচুয়া থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় বাদী কচুয়া বাইছারা গ্রামের আলী আজগর সরকারের ছেলে। ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তারা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে এবং বাদীসহ অন্যদের মারধর করে। তারা আত্মরক্ষার্থে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের ব্যক্তিগত অফিসে প্রবেশ করলে সেখানে গিয়েও তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর এবং অফিস ভাঙচুর করা হয়। সেইসাথে অফিস থেকে নগদ অর্থ নিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী, কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন বলেন, বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরও যুবলীগ, ছাত্রলীগের পরীক্ষিত ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাশা করি না। আশা করি উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এমপি’র নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই