ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের প্রতিবেদক ও আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে আলফাডাঙ্গায় নির্মাণাধীন প্রেসক্লাব ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। সাংবাদিক নির্যাতন কোন ভাবে মেনে নেওয়া হবে না।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব বোয়ালমারীর সভাপতি অ্যাড. কোরবান আলী, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, দৈনিক ঢাকা টাইমসের বোয়ালমারী প্রতিনিধি আমীর চারু বাবলু, মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমের পিতা মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকী প্রমুখ। এসময় আলফাডাঙ্গায় কর্মরত সকল সাংবাদিকগণসহ আলফাডাঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পরিবহন বাসস্ট্যান্ডে রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট কিনতে যান রমিজ নামে এক যুবক। তিনি ঢাকা যাওয়ার টিকিটের দাম পরিশোধ করে বাসে ওঠেন। বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে ‘ক্যাশ কাউন্টার’ থেকে বলা হয় রমিজ টিকিটের টাকা দেননি। তাই তাকে ঢাকায় যেতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি জানিয়ে মুজাহিদের সহযোগিতা চান রমিজ।
ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির মীমাংসা করার কথা বলতেই সাংবাদিক মুজাহিদের ওপর চড়াও হয় কাউন্টারের ম্যানেজার জাপান ও তার সহযোগীরা। জাপান স্থানীয় পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারের ছোট ভাই। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মুজাহিদকে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এসময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে তাদের উপরও চড়াও হন জাপান ও তার সহযোগীরা। বর্তমানে মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর