কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথায় এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে উপজেলা ছাত্রলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের কয়েকশত নেতাকর্মী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম রাহিত হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী, মাদকের কারবার, নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় এবং জেলা ছাত্রলীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে ত্যাগী, বদনাম নেই এমন ছাত্রদের সমন্বয়ে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের আহবান জানানো হয়। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কর্মসূচী থেকে।
এর আগে গত সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এতে সড়কের উভয় দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। অবশ্য তাৎক্ষণিক পুলিশের তৎপরতায় অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলে প্রায় ২০ মিনিট পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কেন্দ্র থেকে দীর্ঘদিন পর চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে এই প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যাচ্ছে একই পদের প্রত্যাশী এবং তাদের সমর্থকেরা।
৩১ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকিত হোসেন সজিবকে।
কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর নানা কর্মসূচী নিয়ে মাঠে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল আনাচ, আবদুল আজিজ আজাদ, মিরাজ উদ্দিন রাজীবসহ ক্ষুদ্ধ নেতারা দাবি করেছেন- কোন ধরণের যাচাই-বাছাই না করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গঠনতন্ত্রের ধারা উপেক্ষা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের ছাত্রত্ব নেই। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে অতীতে কমিটি বাণিজ্য, মাদকের কারবার, নারী কেলেঙ্কারি, মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট গড়ে তোলা ছাড়াও নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। যা জেলা ছাত্রলীগ পর্যন্ত অবগত রয়েছে। এমনকি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া আরহান মাহমুদ রুবেলের আসল নাম হামিদ হোছাইন রুবেল। সে কোন ছাত্র নয়। এছাড়াও সে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিতকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামী। অতএব এমন নেতৃত্ব কেউই মেনে নিতে পারছে না। তাই নতুন করে জীবন-বৃত্তান্ত জমা নিয়ে প্রকৃত ছাত্রদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার আহবান জানান তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএ