লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের হাজিমারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে গৃহবধূ আসমা আক্তারের খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্বামী মাসুদ গাজী খোকনের হাতে খুন হয় সে। রবিবার রাতে তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সে পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, গত শনিবার দুপুরে পুলিশ উপজেলার হাজিমারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর থেকে অর্ধগলিত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এদিন সকালে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহের গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর সেটির ময়নাতদন্ত করা হয়। ঘটনাটি হত্যাকান্ড প্রতীয়মান হওয়ায় ভিকটিমের স্বামীকে সন্দেহ করা হয়।
তিনি বলেন, ভিকটিম নারী আসমা বেগমের মা অজুফা বেগম বাদী হয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসমার পলাতক স্বামী খোকনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ তার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। রবিবার রাত সোয়া ২ টার দিকে চট্রগ্রামের বটতলী রেল স্টেশন থেকে আসমার স্বামী খোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে সে পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে। চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতারের পর তাকে রায়পুর থানায় নিয়ে আসা হয়। সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট ভোররাতে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
অভিযুক্ত খোকনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গাজির চর এলাকায়। ঘটনার পর সে নারায়নগঞ্জে পালিয়ে যায়, সেখান থেকে চট্রগামে গেলে গ্রেফতার হয় খোকন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মংনেথোয়াই, সহকারি পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী, ডিআইও-১ আজিজুর রহমান মিয়া, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএম