বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ব্রিজের ঢালে দ্রুতগামী বাসের চাপায় ৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে শিশুসহ আরও ২ যাত্রী। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আজ রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাবুগঞ্জ উপজেলার মানিককাঠি গ্রামের ফজলুল হক, একই এলাকার স্ত্রী পপি আক্তার ও ভ্যান চালক জয়নাল আবেদীন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনরা জানান, মানিককাঠি থেকে যাত্রী নিয়ে একটি ভ্যান রহমতপুর এলাকার দিকে যাচ্ছিলো। ভ্যানটি রহমতপুর ব্রিজের ঢালে ওঠার সময় ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কের উল্টো পাশে (রং সাইডে) গিয়ে আরেকটি বাসকে দ্রুতগতিতে ওভারটেক করার সময় যাত্রী বোঝাই ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে যাত্রীসহ ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ভ্যান যাত্রী ফজলুল হক ও পপি আক্তার।
আহত হয় ভ্যান চালক জয়নাল, যাত্রী রাফিয়া ও নিহত ফজলুল হকের নাতি শিশু তাওহীদ। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ভ্যান চালক জয়নালের মৃত্যু হয়। আশংকাজনক অবস্থায় শিশু তাওহীদকে (৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ব্যস্ততম মহাসড়কের দুই পাশে বহু যানবাহন আটকা পড়ে। পরে নগরীর বিমান বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের বিচারের আশ্বাস দিলে প্রায় আধা-ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয় তারা।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমান বন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, দুর্ঘটনার পর বাস ফেলে ঘাতক চালক ও হেলপার পালিয়েছে। পুলিশ বাসটি আটক করেছে। চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা