সাভারে পুলিশের সাথে যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও যুবদলের ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এ ছাড়া পুলিশ যুবদল নেতা খোরশেদ আলমের বাড়ি ঘেরাও করে রাখায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে ঢাকা জেলা যুবদলের নেতা ও সাভার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলম অনুমতি ছাড়াই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিজ বাসভবনে জমায়েত করে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। এ সময় নিয়মিত টহল পুলিশ বিষয়টি জানতে ঘটনাস্থলে গেলে যুবদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের সাথে যুবদল নেতাকর্মীদের দফায় দফায় চলা সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ৩টি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে এবং তারা যুবদল নেতা খোরশেদের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। অপরদিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে যুবদল নেতাকর্মীরা। তবে এ ঘটনায় যুবদল নেতা খোরশেদ আলমের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, অনুমতি না নিয়ে সমাবেশ করায় টহল পুলিশ সেখানে যায়। তখন পুলিশের ওপর যুবদল নেতাকর্মীরা আক্রমণ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। পরে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযান চলমান রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর