গ্র্যাচুইটির শতভাগ পাওনা টাকা পরিশোধের দাবিতে পঞ্চগড় চিনিকলের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন। শনিবার দুপুরে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপিও প্রদান করেন। এই কর্মসূচির আয়োজন করে পঞ্চগড় চিনিকল অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি।
বিক্ষোভ সমাবেশে সমিতির সভাপতি নাইবুল ইসলাম ও সম্পাদক শহীদুল্লাহ বলেন, ২০১৭ সাল থেকে অবসরে যাওয়া ২৭৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী গ্র্যাচুইটির টাকা পাচ্ছে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন না। অনেকেই অর্থাভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেকেই আবার অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন না। অবসরোত্তর পরিশোধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, ২৭৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি বাবদ ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে এ টাকা প্রদান করতে পারছে না চিনিকল কর্তৃপক্ষ। বেতন কমিশন ও মুজুরি কমিশনের এসব কর্মকর্তা কর্মচারীর সবাই পাঁচ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাওনা রয়েছে।
এদিকে ২০১৯-২০২০ মৌসুম থেকে চিনিকলটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবিলম্বে গ্র্যাইচুটিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা না হলে শান্তিপূর্ণ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর চিনি শিল্প ভবন ও শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান এবং ৭ সেপ্টেম্বর একই স্থানে অবস্থান গ্রহণ ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা। একই দাবিতে জেলা প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশিদ জাহান মাফরুহা মানববন্ধনে এসে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে অবসরে যাওয়া ২৭৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি পাওনা রয়েছে। বাজেট বরাদ্দ না পাওয়ায় পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিষয়টি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে একাধিকবার জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল