চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছেলে কর্তৃক রাস্তার ধারে ফেলে যাওয়া ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা টুনি বেওয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন।
দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদটি সংবাদ প্রকাশের পর আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রামকৃষ্টপুর মহল্লার কর্দমাক্ত রাস্তা পেরিয়ে সেই বৃদ্ধাকে রাখা ভাড়া বাসায় যান এবং তার শারীরিক খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসক ওই বৃদ্ধা মায়েরর চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ দেখভালের দায়িত্ব নেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাকে বিভিন্ন ফলমূল, চাল ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মানবতার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাউকে অসহায় হিসেবে রাখা হবে না। তাই ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা মায়ের পাশে প্রশাসন এসে দাঁড়িয়েছে। একজন সন্তানের এমন কর্মকাণ্ড মোটেও কাম্য নয়।
এদিকে বৃদ্ধা টুনি বেওয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ উরাও, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাঈমা খান, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌফিক আজিজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ভরণপোষণ চালাতে না পারার অজুহাতে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছেলে মানিরুল তার মা টুনি বেওয়াকে বড় মেয়ে নাজমার বাড়ির কাছে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম জানতে পেরে বৃদ্ধা টুনি বেওয়ার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়ে চক্ষু হাসপাতালের পাশেই থাকা টুনি বেওয়ার ছোট মেয়ে নাসিমার কাছে ভাড়া বাড়িতে রেখে আসেন। বৃদ্ধা নাম টুনি বেওয়ার বাড়ি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের জননী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ