ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে একের পর এক বাজার। এসব বাজারে মানুষের ভিড় এবং বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় দূরপাল্লার যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও প্রাণহানির ঘটনাও বাড়ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বলছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা ও পার্শবর্তী টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলার যানবাহন সামাল দিতে এখন হিমশিম অবস্থা। কয়েক দফায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এসব বাজার অপসারণ করা পর পরই ফের স্থাপনা গড়ে তোলায় মহাসড়কের কিছু এলাকা সরু হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা অংশে সিডষ্টোর ও মাস্টারবাড়ি অংশে মহাসড়ক ঘেঁষে বাজার গড়ে উঠেছে। সকাল থেকে এসব ভাসমান বাজার মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। মাদুর বিছিয়ে অথবা ভ্যানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন ব্যাবসায়ীরা। এসব দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। ফুটপাতের অংশে অবৈধভাবে বসেছে স্থায়ী দোকান। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কে বসা প্রতিটি দোকান থেকে একশত ও ভ্যানগাড়ি থেকে দেড়’শ টাকা চাঁদা নিচ্ছে একটি চক্র। তাছাড়া, প্রতিটি বাজারেই রয়েছে বাস ও অটোরিক্সার স্ট্যান্ড। এসব বাজারের প্রবেশমুখে অসংখ্য রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটো, ভ্যান দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। এতে দূরপাল্লার বাস আটকা পড়ছে।
সিডষ্টোর বাজারের সাইফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে বসা বাজার থেকে একটি চক্র মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা নিচ্ছে। মহাসড়ের উপর বাজার বসায় প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাসচালক আবুল কালাম বলেন, ‘মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজার আর অবৈধ যান চলাচলের কারণে মহাসড়কে আমরা ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারি না। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।’
ভালুকার হায়ওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা একদিক দিয়ে বাজার উঠিয়ে ঘুরে এসে দেখি আবার বসে গেছে। লাঠিপেটা করলেও মানুষ নেতিবাচক দৃষ্টিতে নেয়। তবে চেষ্টা করছি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এর স্থায়ী সমাধান করতে।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের উপসহকারী প্রকশৌলী বুলবুল আহাম্মেদ বলেন, ‘মহাসড়কের পাশের বাজার অপসারণে আমরা কাজ করছি। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল