ময়মনসিংহ নগরে বিবস্ত্র এক অজ্ঞাত নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাত ওই নারীর নাম তাসলিমা (৩২)। তাকে খুন করেছে তার স্বামী মেহেদী হাসান (২২)। হত্যার পর স্বামী মেহেদী পালিয়ে গেলে গত শুক্রবার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহে ফেলে যায় বাড়িওয়ালা স্বপন বেপারি (৩৮)।
সোমবার দুপুরে কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি শাহ কামালা আকন্দ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ফুলপুরের গোয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাসলিমার। এটি ছিল তাসলিমার তৃতীয় বিয়ে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ছিল। সেই কলহের জেরেই তাসলিমাকে হত্যা করে তার স্বামী।
ওসি আরও জানান, বিয়ের পর থেকে তাসলিমা স্বামী মেহেদীকে নিয়ে চট্রগ্রামে বসবাস করছিলেন। গত ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী সেখান থেকে গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় স্বপন নামে এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া ওঠেন। পরদিন বুধবার রাতে ওই বাসায় স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী মেহেদী।
গ্রেফতারকৃতদের বরাতে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাড়ির মালিক স্বপন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে বাসায় যান। দরজার কড়া নেড়ে ভেতরে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ধাক্কা দেন। দরজা খুলে তাসলিমার বিবস্ত্র মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
পুলিশ জানায়, ভয়ে পুলিশ কিংবা কাউকে কিছু না জানিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা শুরু করেন বাড়িওয়ালা স্বপন। বৃহস্পতিবার দিনভর ঘর বন্ধ রাখার পর রাতে লাশ বস্তাবন্দী করে স্বপন নিজের প্রাইভেটকারে নির্জন স্থানে লাশ ফেলতে ময়মনসিংহের দিকে রওনা দেন। কোথাও সুবিধাজনক স্থান না পেয়ে ময়মনসিংহের আকুয়া-রহমতপুর বাইপাসের বাদেকল্পা এলাকায় ওই নারীর লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই নিরুপম নাগ ও এসআই মিনহাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রোববার রাতভর গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত মেহেদী ও বাড়িওয়ালা স্বপনকে গ্রেফতার এবং গুমের উদ্দেশ্যে লাশ বহনকারী প্রাইভেটকারটি জব্দ করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল