ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় রবিবার দিবাগত রাত থেকে একটানা হালকা থেকে মাঝারি আকারের ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে ভোলার সকল রুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছ। জেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ভোলায় ঘণ্টায় ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে ঝড়ো বাতাস বইছে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
কোস্টগার্ড চর মানিকা কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানান, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তারা চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন চর ঢালচর, চর পাতিলাসহ আরো কয়েকটি চরের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করেছেন।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, উপকূলীয় জেলা ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও ঘণ্টায় ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে ঝড়ো বাতাস বইছে।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়াও ২৫ মেট্রিকটন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোলার মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় সকাল থেকে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ভোলা থেকে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম। গঠন করা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম। দুর্যোগ মোকাবিলায় ১৩ হাজার ৬০০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই