বরগুনায় উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি আর জোয়ারে পানির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে ৬৪২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রশাসন প্রস্তুত রাখলেও বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থানকারী বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ তেমন নেই। জোয়ার এবং বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বরগুনার সাড়ে ৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্য রয়েছে।
সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টসহ জেলায় ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২২৫ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, বিস্কুট ও ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রস্তুতির তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, বেড়িবাঁধের বাইরে ইতিমধ্যে আবাসন তলিয়ে গেছে জোয়ারের পানিতে। বেতাগী ও আমতলী শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্য রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই