বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাঈদা পারভীনের স্বামী আল আমিন সিকদারকে মারপিটের ঘটনায় সোনাতলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে গ্রেফতারকৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীম হোসেনকে (৪২) আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর গাড়িচালক ফেরদৌস হোসেন মামলাটি করেন। শামীমের ছেলে আলিফ হোসেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর স্বামী সফট্ওয়্যার ডেভেলোপার আল আমিন সিকদার শনিবার বিকালে উপজেলা পরিষদে ব্যাডমিন্টন কোর্টে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ব্যাডমিন্টন খেলা দেখছিলেন। খেলা শেষে দর্শক শামীম প্রশাসনের কর্মকর্তাদের খেলা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। বাজে মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বামী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম ও তার ছেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বামী আল আমিন সিকদারকে মারধর করেন। এতে আল আমিন সিকদারের শরীরে চিকিৎসাজনিত কারণে লাগানো একটি স্ক্রু খুলে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। গ্রেফতারকৃত শামীমকে রবিবার সকালে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে কর্তব্য অবহেলার দায়ে তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রবিবার প্রতিবাদ সমাবেশ ও র্যালি করেছে সোনাতলা উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। এদিন বিকালে পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রতিবাদ র্যালিটি উপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। পরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীনের স্বামী সফট্ওয়্যার ডেভেলোপার আল আমিন সিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী শামীম হোসেন এর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার রুহুল আমিন, কৃষি অফিসার সোহরাব হোসেন, মৎস্য অফিসার হাফিজুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম মওলা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মাসুদ পারভেজ, রবিউল ইসলাম, সোনাতলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত অফিসার হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল