২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:২৩

সবজির দাম কমেছে বগুড়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

সবজির দাম কমেছে বগুড়ায়

সবজির দাম কমেছে বগুড়ায়

সরবরাহ বাড়ায় বগুড়ার বাজারে কমেছে শীতকালিন নানান সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১০-২০টাকা কমেছে প্রতিটি সবজির দাম। এতে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা। সপ্তাহ ব্যবধানে ফুলকপি, শিম, পাতাকপি, ঢেঁডস, বেগুন, নতুন আলু, পটল, গাজর, শসা, মুলা, বরবটি, লাউ, টমেটো কাঁচামরিচ ও পেঁপের দাম কমেছে। 

দর কমায় ক্রেতারা খুশি হলেও চাষিরা দুশ্চিন্তায়। তাদের অভিযোগ, ফসল উৎপাদনে সার কীটনাশকসহ নানা কৃষি উপকরণ চড়া দামে কেনায় সবজি উৎপাদনে খরচ বেশি হয়েছে। সবজির দাম কমায় এখন ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। তবে, দুই-তিনটি সবজির দাম নতুন করে বেড়েছে। দাম বাড়া সবজিগুলোর মধ্যে গাজর, টমেটো ও শসা উল্লেখযোগ্য। এই তিন সবজি কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার শুক্রবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনী বাজার, খান্দার বাজার ও গোদারপাড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে বাজারে ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৩০, বেগুন ২০, টমেটো ৮০, করলা ৪৫, শসা ৭০, গাজর ৬০, পেঁপে ১৫, ফুলকপি ২০, পাতাকপি ২০, নতুন আলু ৬০-৭০, পুরাতন আলু ২৫, সিম ৪০, পিয়াজ ৪০, বরবটি ৪০, কাঁচামরিচ ৩০, লাউ ৩০, মুলা ১৫টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ও রসুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

কলোনী কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া জানান, গত সপ্তাহে তুলনায় প্রতিটি সবজিতে ১০-২০ টাকা করে দাম কমেছে। বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়া দাম অনেকটাই কম। আগের চেয়ে বেচাকেনাও বেড়ে গেছে। দাম কমায় ক্রেতারা এক কেজি সবজির স্থলে দুই থেকে তিন কেজি পরিমাণ সবজি কিনছেন। তবে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কাচাঁবাজের কোনো প্রভাব পড়েনি। বর্তমানে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। 

তিনি আরো জানান, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হতো। এই সপ্তাহে দাম কমে ৪০ টাকা হয়েছে। ৪০ টাকার পটল আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। নতুন আলু ১৬০ টাকা থেকে কমে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারের আরেক সবজি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, বেশির ভাগ সবজির দাম কমছে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায়। একই সাথে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকায় বাজারে সব ধরনের শাকের দাম কমেছে। আগে সব ধরনের শাকের আটিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হতো। এখন সেগুলো ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাইনুল হাসান জানান, সবজির বাজার মোটামুটি ঠিক আছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। আমি সবজি কিনে অনেকটাই স্বস্তিবোধ করছি। আগে কম পরিমাণ কাঁচাবাজার করতাম কিন্তু দাম কমার পর কিছুটা বেশি কিনেছি। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমেনি। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর