বরগুনায় শীত আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটানা ৬-৭ দিন সন্ধ্যার সাথে সাথে কুয়াশার চাদরে ঢেকে পাল্টে যায় গ্রামের স্বাভাবিক চিত্র। শহরে ঘনবসতির প্রভাবে কুয়াশা দৃশ্যমান না হলেও শহর থেকে বের হলেই কুয়াশার মধ্য পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। কুয়াশা, শীত আর মৃদু শৈত্যে প্রবাহে প্রতিদিনের কর্মজীবনের রুটিন পাল্টে গেছে।
কুয়াশার কারনে আকাশ মেঘলা থাকায় ১০-১১টার আগে সূর্যের দেখা মেলে না।সরকারী অফিস পাড়ায় বেলা ১১টার আগে কেউ আসছেনা। বরগুনার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী অফিস ঘুরে দেখা গেছে থানা এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র অন্য অফিসের নিম্নস্তরের কর্মচারী থেকে উচ্চ পর্যায়ের বেশীর ভাগ কর্মচারীর বেলা ১১ টা বেজে যাচ্ছে অফিসে আসতে। এদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ঠাণ্ডা লাগা আর শৈত্যে প্রবাহের ভয়ে বেলা করেই তারা অফিসের উদ্দ্যশে বের হন। তাদের দাবী দিনের কাজ শেষ করেই তারা বাসায় ফিরেন।
সকালে কুয়াশা আর শীতে বেশী কাতর হয়ে সবজি নিয়ে বাজারে আসতে হচ্ছে কৃষকদের।
শীত আর শৈত্যে প্রবাহে বেশী বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বেড়ীবাঁধের বাহিরে এবং বস্তী এলাকা, ফুটপাতে রাত্রি যাপনকারীদের। তাদের প্রত্যকের শীতবস্ত্র থাকলেও শীতের তীব্রতার কাছে তা অপ্রতুল। বিভিন্ন সামাজিক সংসগঠন ছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে চাহিদার চাইতে খুবই কম শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে।
কুয়াশার কারনে শহরের বাহিরের রাস্তায় চলাচল সন্ধা থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। আবহাওয়া বিভাগের সুত্র থেকে জানা গেছে, ৯ জানুয়ারি বরগুনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বিডি প্রতিদিন/এএম