উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে কয়েকদিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। দিনে সূর্যের দেখা মিলছে সামান্য। কনকনে বাতাসে কাবু হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
জেলার আদিতমারী উপজেলার তিস্তাচরের কৃষক আক্কেল মিয়া বলেন, প্রচণ্ড শীতে কাজকর্ম করতে সমস্যা হচ্ছে। রোদ উঠলে কিছুটা কাজ করা যায়। দু’দিন থেকে তাও সম্ভব হচ্ছে না। হিমেল বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। কাজ করি ক্যামনে।
প্রচণ্ড শীতে জেলায় শিশু ও বয়স্কদের শীতকালীন রোগ বেড়েছে। সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন শিশুরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বয়োবৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিচ্ছেন। সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেকেই মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সেবা নিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন শীতকালীন রোগে আক্রান্ত ভর্তি হচ্ছে।
সদরের কুলাঘাট এলাকার গৃহিণী শেফালি বেগম বলেন, ৪ দিন ধরে ছেলে জ্বর, সর্দি ঠান্ডায় ভুগছে। ঔষধ খাইয়ে ভালো না হওয়ায় মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসা নিচ্ছি।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার ২৪০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। কম্বল আসলে আবারও বিতরণ করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল